১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৩৩
শিরোনাম

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে সকাল-সন্ধ্যার ট্রেন চালুর দাবি

পদ্মা সেতু দিয়ে সরাসরি ঢাকা-যশোর রুটে সকাল ও সন্ধ্যায় নিয়মিত ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি।

শনিবার বিকেলে যশোর রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন। এ সময় সংগঠনের নেতারা তার হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন, যেখানে মোট ৬ দফা দাবি উল্লেখ করা হয়।

রেল মহাপরিচালক আশ্বস্ত করে জানান, নতুন কোচ সংযোজনের পর প্রস্তাবিত দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি যশোর চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষ থেকেও একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সংগ্রাম কমিটির উত্থাপিত ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:

  1. ভোরে ঢাকাগামী এবং সন্ধ্যায় যশোরমুখী ট্রেন চালু করে যাত্রীদের সময়োপযোগী যাতায়াত নিশ্চিত করা।
  2. পদ্মা রেল প্রকল্পের আওতায় বেনাপোল-ঢাকা এবং দর্শনা সীমান্ত-ঢাকা রুটে দুটি করে নতুন ট্রেন চালু করা।
  3. যমুনা হয়ে চলাচলকারী ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের রুট অপরিবর্তিত রাখা।
  4. আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ (সাধারণ) শ্রেণির বগি যুক্ত করে নিম্নআয়ের যাত্রীদের যাতায়াত সহজতর করা।
  5. ট্রেন ভাড়া যেন বাস ভাড়ার তুলনায় সহনীয় থাকে।
  6. দর্শনা-খুলনা রেলপথ ডাবল লাইনে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ।

সংগঠনের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন বলেন, “পদ্মা রেল প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এই অঞ্চলের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। ভাবছিলাম, সকালে ঢাকা গিয়ে দিনের কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফিরতে পারবো। কিন্তু বাস্তবে তা এখনো সম্ভব হয়নি।”

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাবি আদায়ের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে—স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, রেল অবরোধ, রেলসচিব ও মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকসহ নানা ধরণের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবুও দাবিগুলো আজও বাস্তবায়িত হয়নি। শনিবার ফের নতুন করে দাবির পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কাওসার আলী, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, জিল্লুর রহমান ভিটু, হারুন অর রশিদ, তসলিম-উর রহমান, অ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু, খন্দকার আজিজুল হক মনি, ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, হাবিবুর রহমান মিলনসহ আরও অনেকে।

অপরদিকে একই দিনে যশোর চেম্বার অব কর্মাসও রেল মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—যশোরের বসুন্দিয়ায় একটি অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো (ICD) স্থাপন এবং বেনাপোল বন্দরে কন্টেইনার লোড-আনলোড সুবিধা চালু করা, যাতে রেলপথে পণ্য পরিবহন আরও আধুনিক ও কার্যকর করা যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান এবং সাধারণ সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম সোহান।